সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভুল করেছেন, তার উচিত ছিল প্রত্যেক জায়গা ৫লাখ টাকার খাম পাঠানো।
শনিবার (২২ মে) একাত্তর টেলিভিশনের একাত্তর মঞ্চ নামের একটি আলোচনায় সঞ্চালক নুর সাফা জুলহাজের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এসব কথা বলেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক গোলাম রহমান ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান রেজোয়ানুল হক রাজা।
আলোচনার শেষের দিকে সঞ্চালক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর কাছে প্রশ্ন করেন “গণমাধ্যমে গত দেড় বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনেক অনিয়ম দুর্নীতির রিপোর্ট হয়েছে। আজকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ঘটনায়ও আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণনালয় তথ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বলেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছাকে নিয়ে যে ধরণের বিষয় আশয় আসছে, সেগুলো যেন তথ্য মন্ত্রণালয় থামানোর ব্যবস্থা নেয়। এটিও গণমাধ্যমে এসেছে। যে স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজকে এখানে হাসানুল হক ইনু বলছেন দুষ্কর্ম। রেজোয়ানুল হক রাজা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে যখন এই ঘটনার পক্ষে অবস্থান নেয়। তাহলে সেখানে ন্যায় বিচার কতটা আশা করা যায়।”
জবাবে সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, আমি আপনাকে বলি, আপনারা রোজ যে আলাপ আলোচনা করেন। আপনারা এক্সাইটেড আলোচনা করেন। কারণ আপনারা অসৎ। কি করে পত্রিকায় অ্যাডভারটাইজমেন্টটা গেলো। ৭২হাজার টাকার জন্য। বড় বড় কথা বলেন এই খানে বসে।
তিনি আরও বলেন, কারণ টকে বলা যায়, পত্রিকায় বলা যায়। এত যাদের বিবেক নাই তাদের সাথে কিসের আলাপ আলোচনা। আপনারা প্রত্যেকেই (আমি ছাড়া) সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। আপনারা টাকা দিলেই হয়। ওই মন্ত্রী (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) ভুল করেছেন, তার প্রত্যেক জায়গা ৫লাখ টাকার খাম পাঠানো উচিত ছিল। তাহলে সব রাস্তাঘাটে কিছু হতো না। আসলে প্রত্যেকেই পার্চেজেবল। কত টাকায় পার্চেজেবল। ডেইলি স্টারের মালিক তিনি ছিলেন প্রথম আলোর মালিক বা একটা কিছু। এখন দেখা গেলো তার পেপারেও অ্যাভারটাইজমেন্ট দিলেই হয়। তার মানে যেখানে পত্রিকার মালিকদের পয়সা দিয়ে কেনা যায়। সাংবাদিকরা কিছুদিন করতেছে, কিছুদিন পর কিছুই হবে না আল্টিমেটলি।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে প্রত্যেকেই তো কন্টাডিক্টরি কথা বার্তা বলতেছেন। কথা হচ্ছে যখন আইনের উপর বিশ্বাস রাখেন। তখন আবার যদি বলা হয় না ওই দিন দেওয়া যেতো। তাহলে তার উপর বিশ্বাস নাই। হয় ইয়েস অথবা নো দুই রকম। হয় আমরা আইনের প্রতি বিশ্বাস রাখবো অথবা রাখবো না। আমি মনে করি আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আইন বের করবে ওইখানে রোজিনা কি জন্য গিয়েছিলো। এবং তারা বের করবে তার (রোজিনা) কি অন্যায় করা হয়েছে। আইনে প্রত্যেকটা জিনিস ট্রান্সপ্যারেন্ট। যতই চেষ্টা করুক না কেন লুকাবার কিছু নাই। কিন্তু এদেশে সাংবাদিকদের প্রতি আমাদের বিশেষ করে যারা মালিক। অধিকাংশ সাংবাদিকরা-মালিকরাই তো আজকাল এরাই তো কর্পোরেট হাউজ অথবা এরাই পত্রিকা বের করে। এরা কথা বলার সময় আপনি যদি দেন তাহলে চারঘণ্টা ধরে বলতে পারবে। আর কালকে অ্যাডভারটাইজমেন্ট দেন খুশি হয়ে নিয়ে যাবে। বরং যে বসে থাকে (আমি বিএমআরসি ও কমিউনিটি ক্লিনিং) আমার ওখানে রুমে প্রধান গেস্ট হচ্ছে যে এর পরের বার যে ক্রোড়পত্র বের হয় আমাকে যেনো দিয়েন। এই হচ্ছে বর্তমানে অবস্থা। এখন আপনারা যারা ইলেকট্রনিক মিডিয়া তারা দু:খবশত পাননি। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আমাকে চাচা বলে। আমি ফোন করে বলবো বাবা এদেরও কিছু অ্যাডভারটাইজমেন্ট দাও। না হলে তো এরাও টকে আলোচনা করবে।