ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রতিনিধিদলের গতকাল কেন্দ্রিয় ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে এবিবি।
পুরো সাক্ষাৎকার একটি সৌহার্দ্যসুলভ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। সেখানে ব্যাংকের এমডিদের পক্ষ থেকে কোন বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার মত ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি এবিবির।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবিবি দাবি করেছে, ব্যাংকে কর্মীদের স্বেচ্ছায়, খারাপ পারফরমেন্সের কারণে এবং ব্যাংকের শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত কারণে পদত্যাগ বিষয়ে দেশের কয়েকটি ব্যাংকে কেন্দ্রিয় ব্যাংকের চলমান নিরীক্ষা কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি কিছু পত্রিকায় বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছাপা হওয়ার প্রেক্ষিতে এবিবি নেতৃবৃন্দ গতকাল গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে এ প্রসঙ্গে ব্যাংকগুলোর অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
এসময় এবিবি নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রিয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান যে, শ্রম আইন যথাযথ পরিপালন করেই ব্যাংকে খারাপ পারফরমেন্স বা শৃঙলাভঙ্গজনিত কারণে কর্মীদের পদত্যাগ বা ছাঁটাইয়ের বিষয়টি ঘটে থাকে। অনেক কর্মীই স্বেচ্ছায় বেশি বেতন ও সুবিধা নিয়ে অন্য ব্যাংকে যেমন চলে যান, তেমনই নানা পারিবারিক কারণ, স্থায়ীভাবে বিদেশ গমন ইত্যাদি কারণেও বড় সংখ্যক কর্মী স্বেচ্ছায় তাদের চাকরি ছাড়েন। আর যে সকল ব্যাংকে আলাদা কমিশন আয় ভিত্তিক সেলসফোর্স রয়েছে, সেসব ব্যাংকের পদত্যাগকারী কর্মীর সংখ্যা স্বাভাবিক কারণেই বেশি হয়। যেহেতু অনেক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের প্রশিক্ষিত সেলস কর্মীদেরকে স্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। সভায় এবিবি চেয়াম্যান বলেন, যদি যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাডা কোনো ব্যাংক কোনো পদত্যাগকারী কর্মীর পাওনা বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে গড়িমসি করে থাকে, তাহলে এবিবি সেটার নিন্দা জানায়।
এবিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক নির্বাহীদের এ সকল তথ্য উপাত্ত ও পরিসংখ্যান শোনার পর কেন্দ্রিয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিছু ব্যাংকে নিরীক্ষা চলমান রাখার এবং তার শেষে বস্তুগত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানায়।
এবিবির দাবি গভর্নরের সঙ্গে সুন্দর ও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তাই সংবাদপত্রে প্রকাশিত ভুল তথ্যের নিন্দা জানানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।