1. jitsolution24@gmail.com : admin :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুয়াকাটায় ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইবিএল কার্ডধারীদের বিশেষ সুবিধা দেবে লা মেরিডিয়ান ক্ষুদ্রঋণে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার বাড়াতে বিকাশ ও ডাটাসফটের উদ্যোগ ২০২৩ সালে সিটি ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৩ শতাংশ আইএমএফের ঋণ পাকিস্তানের চেয়ে কম বাংলাদেশের মানব পাচার হতে উদ্ধার পাওয়া আরও ৬,০০০ সদস্যকে বিকাশের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করবে উইনরক ভোক্তাপর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিশ্চিত করার দাবি নগদের পার্টনার হচ্ছে এশিয়ার শীর্ষ টেক কোম্পানি ইবিএল-সিপিডি এমওইউ ন্যাশনাল ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুটি উপশাখার উদ্বোধন

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন বাড়ছে

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : শনিবার, ৮ মে, ২০২১
  • ৩৪৪ Time View

চলমান করোনা মহামারির কারণে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন পেমেন্ট টেকনোলজি বা প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেন পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। এই অঞ্চলের দেশগুলোর ৯৪ শতাংশ বাসিন্দা জানান, তারা আগামী বছরগুলোতে লেনদেনের ক্ষেত্রে কিউআর কোড, ডিজিটাল বা মোবাইল ওয়ালেট, ইনস্টলমেন্ট প্ল্যানস, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও বায়োমেট্রিকস এসব পদ্ধতি বা সেবার যেকোনো একটি ব্যবহারের কথা বিবেচনা করবেন। মাস্টারকার্ডের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা তথা গ্রাহক জরিপে এমন তথ্য ওঠে এসেছে। এর ভিত্তিতে নিউ পেমেন্টস ইনডেক্স বা নতুন লেনদেন সূচক (এনপিআই) প্রকাশ করেছে মাস্টারকার্ড। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডসহ ১৮টি দেশের ওপর জরিপটি করা হয়। জরিপে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৮৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে তাদের কাছে এখন এক বছর আগের চেয়ে অনেক বেশি উপায় রয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া ৭৪ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠাগুলো যদি পেমেন্টের ক্ষেত্রে বাড়তি অপশন বা বিকল্প নিয়ে আসে, তাহলে সেসব প্রতিষ্ঠানে আরো বেশি লেনদেন করবেন তারা।

মাস্টারকার্ডের এশিয়া-প্যাসিফিকের প্রডাক্টস অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দীপ মালহোত্রা এ প্রসঙ্গে বলেন, “মাস্টারকার্ডের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষরা শুধু পরিস্থিতির সঙ্গে খাপখাওয়ানো নয় বরং স্বেচ্ছায় ও নিজেদের প্রয়োজনের নিরিখে গতানুগতিক লেনদেন পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন পেমেন্ট টেকনোলজির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। ব্যক্তিগত সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরার ঝুঁকি উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা প্রযুক্তিনির্ভর লেনদেনে আগ্রহী হচ্ছেন।”

সন্দীপ মালহোত্রা আরো বলেন, “এশিয়া-প্যাসিফিকের বাসিন্দারা নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন ও উদ্ভাবনে মনোযোগী হচ্ছেন ও তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই অঞ্চলে ডিজিটাল পেমেন্ট লেনদেনের প্রধান মাধ্যমে পরিণত হতে থাকায়, প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন এর প্রসার অব্যাহত থাকবে।”

মাস্টারকার্ডের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায় নিউ পেমেন্ট টেকনোলজি বা নতুন প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেন সেবা বাড়ছে। অন্যদিকে গতানুগতিক ধারার নগদ লেনদেনের পরিমাণ দিনদিন কমছে। বাস্তবিক পক্ষে আগামী বছরগুলোতে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৬৯ শতাংশ গ্রাহক জানান, তারা নগদ লেনদেন কম করার কথা ভাবছেন। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৬৮ শতাংশ গ্রাহক জানান, তারা আগামী বছর ডিজিটাল ও মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন করবেন, যা বৈশ্বিক গড় ৬২ শতাংশের চেয়ে বেশি।

সন্দীপ মালহোত্রা বলেন, “এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভোক্তাদের আকাক্সক্ষা ও পছন্দের কারণেই মূলত তাদের লেনদেন সংক্রান্ত আচরণে পরিবর্তন এসেছে। ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তারা যখন, যেভাবে চান সেভাবেই কেনাকাটা করতে চাচ্ছেন। সুতরাং যেসব ব্যবসা বিভিন্ন উপায়ে কেনাকাটা ও অর্থ পরিশোধের সুযোগ করে দিতে পারবে, তাদেরই গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটানোর সক্ষমতা থাকবে ও এভাবেই ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি-প্রকৃতি পাল্টাবে।”

সমীক্ষা বা জরিপে বিশেষভাবে উঠে এসেছে:

কেনাকাটায় নতুন বাস্তবতা ও লেনদেনের অভ্যাস: এই সমীক্ষা তথা জরিপে দেখা যায়, প্রযুক্তিভিত্তিক পদ্ধতিতে লেনদেনের সুযোগ থাকায় বিগত এক বছরে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৮৪ শতাংশ ভোক্তার লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে, ৮৮ শতাংশ ভোক্তা গত এক বছরে প্রযুক্তিভিত্তিক উপায়গুলোর অন্তত যেকোনো একটি ব্যবহার করছেন। মোট উত্তরদাতার (যাদের মধ্যে ৭৫% মিলেনিয়ালস) দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৪ শতাংশ জানান, তারা নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক উপায়ে লেনদেনের চেষ্টা করেছেন, করোনা মহামারির না হলে তারা তা করতেন না। যেহেতু ভোক্তাদের চাহিদা বাড়ছে, কেনা-কাটা ও অর্থ পরিশোধে বিভিন্ন উপায় নিশ্চিত করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভোক্তাদের প্রত্যাশা আরো বাড়বে। ৮০ শতাংশ ক্রেতা জানিয়েছেন সশরীরে ও অনলাইনে কেনার সুযোগ রয়েছে এমন দোকানই তাদের অধিকতর পছন্দের। যেসব বিক্রেতা তাদের প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেনের সুযোগ দেয় সেগুলোতেই কেনাকাটা করতে চান ৬৯ শতাংশ ভোক্তা। ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা সরাসরি জানিয়েছেন, যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক পেমেন্ট বা প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেনের সুযোগ নেই সেগুলো তারা এড়িয়ে চলতে চান।

নতুন ও বিকাশমান লেনদেন পদ্ধতিগুলো:

এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে কিউআর কোড বিশেষভাবে জনপ্রিয়: জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে কিউআর কোড জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পেমেন্টের ক্ষেত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করেন এমন ৬৩ শতাংশ জানান, গত বছরে পূর্বের তুলনায় তারা কিউআর কোড অনেক বেশি ব্যবহার করেছেন। থাইল্যান্ড ও ভারতে কিউআর কোড ব্যবহারের হার ৬৪ শতাংশ, যেখানে সারাবিশ্বের গড় হার ৫৬ শতাংশ। জরিপে এশিয়া-প্যাসিফিকের ৭৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মত কিউআর কোড স্বচ্ছ হওয়া উচিত এবং ৭১ শতাংশ মনে করেন এটির ব্যবহার আরো সহজ করা প্রয়োজন। থাইল্যান্ড ও ভারতের যথাক্রমে ৭৭ ও ৭১ শতাংশ ভোক্তা মনে করেন কিউআর কোডের লেনদেন নিরাপদ। অন্যদিকে এই দুটি দেশের যথাক্রমে ৬৭ ও ৬৪ শতাংশ ভোক্তা নগদ লেনদেনকে নিরাপদ উপায় বলে ভাবেন। অর্থাৎ কিউআর কোডসহ অন্যান্য ডিজিটাল পেমেন্টের ওপর মানুষ এখন বেশি আস্থাশীল।

ক্রিপ্টোকারেন্সির বিকাশ ঘটছে, নতুন প্রজন্মও ঝুঁকছে:

ভোক্তারা এখন পণ্য বা বিনিয়োগ হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রার কেনাবেচা ও ব্যবসা করতে পারেন। ফলে তাদের মধ্যে প্রতিদিনই ক্রিপ্টো সম্পদ কেনাবেচা করার আগ্রহ বাড়ছে। জরিপ বলছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৫ শতাংশ ভোক্তা আগামী বছরে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের কথা ভাবছেন। এই হার আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। এছাড়া, বর্তমান বৈশ্বিক গড় ৪০ শতাংশের অধিক। অবশ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে মিলেনিয়ালস (বয়স ১৮-২২ বছর) ও সেন্টেনিয়ালসরাই (বয়স ১৯-৩৫ বছর) বেশি (৪১%) স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। অন্যদিকে জেনারেশন এক্স (বয়স ৪১-৫৬ বছর) ও বুমারসের (বয়স ৫৭-৭৫) ২৬ শতাংশ ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। মিলেনিয়ালসদের (১৮-২২ বছর) ৭১ শতাংশ জানান, তারা এক বছর আগের চেয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে এখন বেশি আগ্রহী। এছাড়া, ভৌগোলিকভাবে বলতে গেলে, থাইল্যান্ডের ৪৬ শতাংশ ও ভারতের ৪৪ শতাংশ ভোক্তা ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, যেখানে অস্ট্রেলিয়ায় এই হার মাত্র ১৭ শতাংশ। ভোক্তাদের যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিশেষ করে বিটকয়েন এর মতো ভাসমান ডিজিটাল কারেন্সির প্রতি আগ্রহ রয়েছে, তাই এই ব্যবস্থায় ভোক্তাদের পছন্দ, নিরাপত্তা ও পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে তাদের সম্মতির ক্ষেত্রে আরো তৎপরতার প্রয়োজন রয়েছে।

বায়োমেট্রিকস বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে ভোক্তাদের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ছে: নিরাপত্তা ও সুবিধা বিবেচনায় গত এক বছরে বায়োমেট্রিকস বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতি ব্যবহারে ভোক্তারা আগের চেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য হচ্ছেন। জরিপ বলছে, এশিয়া ও প্যাসেফিকের ৬৪ শতাংশ ভোক্তা জানিয়েছেন, তারা বায়োমেট্রিকস এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতির ভেরিফিকেশনে বেশ পছন্দ করেন। জরিপে ৬২ শতাংশ ভোক্তা জানান, কেনাকাটার ক্ষেত্রে তারা পিন ব্যবহারের চেয়ে বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিকেই অধিকতর নিরাপদ মনে করেন।

সবকিছুর আগে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়: এই জরিপে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি চারজন গ্রাহকের মধ্যে একজন (২৭ শতাংশ) জানান, গত বছর তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং এ বিষয়ে তাদের প্রতিকার প্রয়োজন। ৭৯ শতাংশ ভোক্তা জানান, নিরাপদ বোধ করলে তারা কোনো না কোনো নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন করবেন। মার্চেন্ট তথা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অফার বা সুবিধা প্রস্তাবগুলো সত্যি সত্যি নিশ্চিত কি না সেটিই আগে নিশ্চিত হতে চান ৮৫ শতাংশ ভোক্তা। অনেক ভোক্তা আবার প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও তাদের নেটওয়ার্কের ওপর বিশ্বাস রাখার বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন। ৪৫ শতাংশ ভোক্তা বলেন, লেনদেন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যদি লেনদেনের সুরক্ষা দিতে পারে তাহলে এই সেবা নেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে ৪৭ শতাংশ উত্তরদাতা সরাসরি জানিয়ে দেন, লেনদেনের নিরাপত্তা বা সুরক্ষাজনিত উদ্বেগের কারণেই মূলত তারা নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন সেবা গ্রহণ করছেন না। এছাড়া ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা ডেটা, অর্থাৎ তাদের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত কি না এমনটা আশঙ্কা করছেন।

ভোক্তাদের প্রত্যাশা মেটাতে হলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেনে খাপখাওয়াতে হবে :
জরিপ বলছে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে হলে ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা তথা প্রত্যাশা অনুযায়ী সময়োপযোগী নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন সেবার প্রচলন ঘটাতে হবে। প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন সেবায় সম্পৃক্ত বিশ্বব্যাপী এমন সাড়ে পাঁচ হাজার মেজর মাস্টারকার্ড মার্চেন্ট এর ওপর মাস্টারকার্ড সম্প্রতি একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের এক-পঞ্চমাংশই জানিয়েছে যে, গত ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে তারা ই-কমার্স চ্যানেল বা নতুন প্রযুক্তিভিত্তিক লেনদেন অর্থাৎ নগদবিহীন লেনদেন সুবিধা বাড়িয়েছে।

বাড়ছে ক্যাশলেস লেনদেন:
জরিপে দেখা যায়, একই সময়ে বিশ্বব্যাপী মাস্টারকার্ডের নেটওয়ার্কে কার্ডবিহীন লেনদেন ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ১০০টিরও বেশি দেশে দেখা গেছে, স্পর্শবিহীন লেনদেন বেড়েছে অন্তত ৫০ শতাংশ। চলতি ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাস্টারকার্ড ব্যবহারের ভোক্তারা মোট এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটিরও বেশি নগদবিহীন লেনদেন সম্পন্ন করেছেন। বিশেষ করে ভারত ও থাইল্যান্ডে নগদবিহীন লেনদেন সেবা যথাক্রমে দ্বিগুণ ও চার গুণ বেড়েছে ।

মাস্টারকার্ড যেভাবে লেনদেন সেবার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছে:
দোকানে, ব্যাংকে ও অনলাইনে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে। ই-কমার্স, অনলাইন ব্যাংকিং ও টাচলেস ট্র্যানজেকশন বা ক্যাশলেস লেনদেন সেবার সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সুবিধা বাড়ানোর জন্য মাস্টারকার্ড সম্প্রতি এশিয়া ও প্যাসিফিক মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার ডিজিটাল র্ফাস্ট প্রোগ্রাম জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। বিভিন্ন উদ্ভাবনী অংশীদারদের সহায়তায় এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার, দ্রুত কেনাকাটা করা, সুযোগ-সুবিধা আরো সহজ করা এবং মানসিক প্রশান্তি পাওয়ার বিষয়গুলোকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ভোক্তারা এখন বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কার্ড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি লেনদেনের সুবিধা উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। সম্প্রতি মাস্টারকার্ড ভারতে কার্ডের মাধ্যমে কিউআর ব্যবহারের সুবিধা চালু করেছে। এরফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এখন কিউআর কোর্ডে ভায়া হয়ে কার্ডের মাধ্যমে নিরাপদে লেনদেন করতে পারছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2023