ঢাকা || ২১ মে ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন গ্রহিতা ১ লাখ ছাড়াল

সর্বজনীন পেনশন গ্রহিতা ১ লাখ ছাড়াল

ব্যাংক ইনফো

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

দেশের নাগরিকদের জন্য চালু হওয়া বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে (স্কিম) ১ লাখ মানুষ নিবন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন। স্কিম চালু হওয়ার সাড়ে ৯ মাসে এমন মাইলফলক স্পর্শ হয়েছে। যার মাধ্যমে সরকারি ফান্ডে জমা হয়েছে ৪২ কোটি টাকা।

গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পেনশন স্কিমে যুক্ত ছিলেন ৫৪ হাজার ৬৪৭ জন ব্যক্তি। এর মাত্র ১৩ দিনের মাথায় যা লাখ ছাড়িয়েছে। প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিম- এ চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। পেনশন বিধিমালা বলছে, সর্বজনীন পেনশন প্রথায় যার যত টাকা জমা, মেয়াদ শেষে তার তত বেশি পেনশন। অন্যদিকে, স্বল্প আয়ের মানুষদেরও বিমুখ করবে না এ উদ্যোগ। যারা মাসিক ৫০০ টাকা জমাবেন, তাদের জন্য শুরু থেকেই থাকবে সরকারের আরও ৫০০ টাকার ভর্তুকি। সব মিলিয়ে সবার জন্যই থাকছে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বাড়তি কয়েকগুণ মুনাফা।

আর পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াত পাওয়ার যোগ্য হবেন নিবন্ধনকারীরা। এ ছাড়া মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত হিসেবে ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
অন্যদিকে চলতি বছরের জুলাই বা তার পরবর্তী সময়ে যারা স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যোগদান করবেন, তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তারা সবাই ‘প্রত্যয়’ স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হবেন। গত ২০ মার্চ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন ইস্যু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ কর্তৃক ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ পাস করা হয়। বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) ওই বছরের ১৭ আগস্ট সকালে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উন্মুক্ত করা হয়।

উদ্বোধনের পর জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট www.upension.gov.bd চালু করা হয়েছে। চারটি স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া শুরু হয়।