ঢাকা || ০৩ মে ২০২৪

৭হাজার দুস্থ পরিবারে সেহরির খাদ্য বিতরণ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

৭হাজার দুস্থ পরিবারে সেহরির খাদ্য বিতরণ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

কোভিড -১৯ এর বিরূপ প্রভাবের কারণে জীবিকা হারানো ৭ হাজারের বেশি পরিবারের মাঝে  খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে তৈরি এসব খাবার ঢাকা শহরে বিতরণের জন্য যুক্ত হয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “প্রতি রমজানে সন্মানিত ক্লায়েন্টদের সাথে একসাথে ইফতার করার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে। যদিও এ বছর আমাদের  তা  করার সৌভাগ্য হয়নি, তবে আমারা ভাগ্যবান যে আমরা আমাদের গ্রাহকদের পক্ষ থেকে পবিত্র মাসে দুস্থ সম্প্রদায়ের খাদ্য সাহায্য  পৌঁছে দিতে পেরেছি।“ তিনি আরো বলেন, “এই মহামারীর কারণে সমাজের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ত প্রকাশ পাচ্ছে যার ফলে ভাগ্য সহায়হীনরা আরও ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ছে। এই সহৃদয়পূর্ণ পদক্ষেপটি আমাদের উদ্দেশ্যগুলির সংহতির এক নিদর্শন, যাতে করে আমরা সমাজের সেই চ্যালেঞ্জগুলো নিরাময়ের জন্য একসাথে কাজ করতে পারি।“ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দেশের প্রাচীনতম আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান, যা এই ২০২১ সালে বাংলাদেশে ১১৬ বছর উদযাপন করছে। ব্যাংকটি অগ্রগতিতে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসাবে তাদের সেবার মাধ্যমে জাতির অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং উন্নয়নের পক্ষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জের মুখে ব্যাংকটি মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ জুড়ে তৃণমূল সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করে যচ্ছে। ব্যাংকটির কার্যক্রমগুলো দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মশক্তি পুনঃ সংহতির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি তাৎক্ষণিক সহায়তা এবং জীবন রক্ষাকারী মেডিকেল সহায়তার উপর জোর দিচ্ছে। এই সম্মিলিত উদ্যোগগুলিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালে সিএসআর ব্যয়ের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যয় করা আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসাবে স্বীকৃত দিয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জনগণের সাহায্যার্থে ৫টি মূল বিষয়ে আলোকপাত করছে; খাদ্য ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা প্রদান – বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক ও কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের মাধ্যমে ১ লক্ষ বিশ হাজার মানুষকে তিন বেলা খাবার ও স্বাস্থ্যসুরক্ষার উপাদান সরবরাহ। মেডিকেল সেবা প্রদান – সাজিদা ফাউন্ডেশন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৫৬০ জন গুরুতরভাবে আক্রান্ত করোনা রোগীকে মেডিকেল সেবা প্রদান। জীবিকা নির্বাহে সহযোগিতা – অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে, ২০০০ কৃষকদের থেকে প্রায় ২০০ টন টাটকা উৎপাদিত পণ্যসামগ্রি সরাসরি ক্রয় করে, ২ লক্ষ সুবিধাভোগী মানুষের নিকট বিনামূল্যে ডেলিভারীর ব্যবস্থা গ্রহন শিক্ষাখাতে সাহায্য – দরিদ্র শিশুদের পড়াশোনা ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতে ইউনিসেফ’কে ১০ কোটি ৯১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার অর্থ সাহায্য প্রদান প্রথমসারীর যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য – রেড ক্রসকে ২ কোটি ৫১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার অর্থ সাহায্য প্রদান। সরকার ঘষিত সহায়তা ব্যবস্থার পাশাপাশি ব্যাংকটি তাদের ক্ষুদ্র গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের জন্যে বৃহৎ আকারের সাহায্য সুবিধার কথা ঘোষনা করেছে। যার মধ্যে লোন রি-পেমেন্ট হলিডে’স, ফি ওয়েভারস অর ক্যান্সেলেশন অ্যান্ড লোন এক্সটেনশন ফ্যাসিলিটিস অন্যতম। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দরূন, সেই সকল কোম্পানি যারা প্রয়োজনীয় সেবাসামগ্রী সরবরাহ করে আসছে তাদের সহায়তায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গ্লোবাল ফিন্যান্সিং প্রোগ্রামের উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাংকটি। এছাড়াও, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে মহামারীর ছোবলে বিপর্যস্ত গোষ্ঠীগুলোর সাহায্যার্থে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ফান্ড চালু করেছে।