ঢাকা || ৩০ এপ্রিল ২০২৪

প্রণোদনার ঋণ বিতরণে এগিয়ে রপালী পিছিয়ে জনতা

প্রণোদনার ঋণ বিতরণে এগিয়ে রপালী পিছিয়ে জনতা

কৃষিখাতে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৩১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। কৃষি ঋণ ব্তিরণে এগিয়ে রয়েছে রূপালী ব্যাংক এবং সবচেয়ে কম ঋণ বিতরণ করেছে জনতা ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৫৩৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে সোনালী ব্যাংককে ২০৯ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংককে ১২৪ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে ১২০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংককে ৫২ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংককে ২৯ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে ৩ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশ ৪৫কোটি ৯লাখ টাকা বিতরণ করেছে রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড ৫১দশমিক ২০শতাংশ বা ১ কোটি ৫৪লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংক ২৫ দশমিক ২০শতাংম বা ৩১ কোটি ২৫লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক ২৪দশমিক ৫৪শতাংশ বা ৫১ কোটি ২৮লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংক ৬দশমিক ৮৬শতাংশ বা ১ কোটি ৯৯লাখ টাকা এবং জনতা ব্যাংক ৩দশমিক ২০শতাংশ ২৪লাখ টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে।

বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিতরণ করেছে ৯৫৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিতরণ করেছে ৩২১কোটি ১৫ লাখ টাকা।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট আর্থিক সংকট মোকাবিলায় কৃষিখাতের জন্য গঠিত ৫হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর‌্যন্ত প্রায় ৭৯ হাজার কৃষক ঋণ পেয়েছেন। একই সময়ে ব্যাংকগুলো বিতরণে করেছে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

চলতি বছরের ১২ এপ্রিল সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৬টি জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদানকালে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ তহবিলের অর্থ গ্রামাঞ্চলের পোল্ট্রি ও দুগ্ধ খাতসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের মাঝে ৫শতাংশ সুদে বিতরণ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। একদিন পরে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারী করে কৃষিখাতে প্রণোদনা ঋণের সুদ ৪শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে।

চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর‌্যন্ত ঋণ বিতরণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও বিতরণ কার্যক্রম সন্তুষ্ট না হওয়ায় প্যাকেজের পুরো অর্থ বিতরনের সময় ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেবাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারী-বেসরকারী ৪৩ টি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪হাজার ৪শ ৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১৪০৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ৩৫টি বেসরকারী বেসরকারী ব্যাংক বিতরণ করেছে ৪৫৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ঋণ পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২৬ জন কৃষক।