ঢাকা || ১৭ নভেম্বর ২০২৫

প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের পরিবারকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা

প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের পরিবারকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা

ব্যাংক ইনফো

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ১২ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবাল ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে সম্পদ ক্রয় ও সীমাতিরিক্ত লেনদেনের অভিযোগে ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মোট ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

বিএফআইইউ জানায়, অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন লঙ্ঘন করে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) হিসাব খোলা, নিয়মবহির্ভূতভাবে অর্থ জমা, ঘোষিত ফরম সংরক্ষণ না করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা পাচারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণে ব্যাংকটিকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অন্য গ্রাহকের রপ্তানি আয়ের হিসাব থেকে ১ লাখ ডলার ইকবাল পরিবারের হিসাবে স্থানান্তরের ঘটনায় আরও ১ কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।

একই সঙ্গে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য বিএফআইইউকে না জানানোয় ব্যাংকটির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। ফলে ব্যাংকের মোট জরিমানার পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগামী রোববারের মধ্যে এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অন্যথায় সরাসরি ব্যাংকের হিসাব থেকে অর্থ কেটে নেওয়া হবে।

অর্থ পাচারে সহায়তার অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম রিয়াজুল করিমকে ৩০ লাখ টাকা, বর্তমান অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) সৈয়দ নওশের আলীকে ৩০ লাখ টাকা, বনানী শাখার সাবেক অপারেশন ম্যানেজার মনিরুল করিম লিটনকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত কার্ড বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী দুই কর্মকর্তাকে ১০ লাখ টাকা করে এবং ২২ বার নিয়মভঙ্গ করে ক্রেডিট কার্ডের সীমা বাড়ানোর দায়ে জাকির হোসেন জিতুকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইকবাল ও তাঁর পরিবারের চার সদস্য—মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, মইন ইকবাল, নওরীন ইকবাল ও মইন ইকবালের স্ত্রী ইয়াসনা পূজা ইকবালের নামে ব্যাংকটির ১৮টি আন্তর্জাতিক ও ৪টি প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৩১১ মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এই লেনদেন বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের নির্ধারিত সীমার অনেক বেশি।

বিএফআইইউর ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো চিঠির জবাব অসন্তোষজনক হওয়ায় এ জরিমানা আরোপ করা হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি এমন একটি চিঠি পাওয়ার কথা শুনেছেন।

city-bank
city-bank